ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৭:৪১ অপরাহ্ন

women-day‘নারী’ কেবল একটি শব্দ নয়, নারী একটি চেতনার নাম। নারীত্বই নারীকে করেছে মহিমান্বিত। নারী তার স্বভাবসুলভ শান্ত ও স্নিগ্ধ রূপে যেমন সকলকে মোহিত করে, একইভাবে তার রুদ্রমূর্তি যুগ যুগ ধরে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় দৃঢ়চিত্তে। নারী দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই সেসকল নারীদের যারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে আমাদের পথচলাকে করেছে সহজ এবং সুন্দর।

আজ ৮ই মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীদের সংগ্রাম, অর্জন এবং লিঙ্গ সমতার অধিকারকে উদযাপন করার জন্য এই দিনে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় নারী দিবস। ‘নারীর সম-অধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হবে।

single-ad-main-1

১৯১১ সাল থেকে নারী দিবস উদযাপন শুরু হলেও ঘটনার মূল সূত্রপাত ঘটে ১৮৫৭ সালে। এইদিনে দৈনিক কাজের সময় ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টায় আনা, মজুরি বৈষম্য, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারী শ্রমিকেরা। কিন্তু ফলস্বরূপ তাদের ওপর নেমে আসে নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন। যার ফল হিসেবে ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের একটি নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন পালন করা হয়। এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন।

সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ১৯১১ সাল থেকে নারীদের অধিকার আদায়ের দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বর্তমানে নারীরা কেবল ঘরেই আবদ্ধ নন। খেলার মাঠ, প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ পযন্ত বিভিন্ন চাকরিতে নারীদের অবস্থান সংহত হচ্ছে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে অবস্থান করছে।যা সমাজে নারী ক্ষমতায়নকেই ইঙ্গিত করে।

single-ad-main-2

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে নারীদের অগ্রগতিই সমাজকে করতে পারে সমৃদ্ধিশলী। সামাজিক,রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে নারী পুরুষের সমতাই পারে দেশে সমৃদ্ধি আনতে। তাই নারী দিবসে পশ্চাৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে নারীদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে। নারীদের অধিকার নিশ্চিতকরণে সকলে সচেষ্ট থাকলেই নারী দিবস পাবে পূর্ণতা।