নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের। এমন ফলাফলে তোপের মুখে পড়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন।
বিএনপির একটি অংশ কামাল হোসেনের ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ওই অংশটি নির্বাচন বর্জনের পক্ষে ছিলেন। বিভিন্ন সময় কামাল হোসেনদের তারা বিষয়টি বুঝিয়েছেনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার পক্ষেই ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
ভোট চলাকালীন বিভিন্ন সময় ধানের শীষের প্রার্থীরা যখন ভোট বর্জন করার ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখনও ভোট বর্জনের জন্য কামাল হোসেনকে চাপ দেন তারা। কিন্তু কামাল হোসেন শেষ পর্যন্ত দেখার ঘোষণা দেন। এমনকি মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বর্জন করছে এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দলীয় সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
এমনকি সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের পর ফল প্রত্যাখ্যান করে ফের নির্বাচনের দাবি জানালেও কঠোর কোনো ঘোষণা দেননি ড. কামাল হোসেন।
এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের তোপে পড়েছেন তিনি। বিএনপির একটি অংশের মতে নমনীয় কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিয়েছেন খোদ ড. কামাল হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব আমরা (বিএনপি) কেনো মেনে নেব? অথচ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘুরেফিরেই কামাল হোসেনের কাছে যাচ্ছেন।
আমার প্রশ্ন, ড. কামালের সংবাদ সম্মেলনে আমাদের কি লাভ হচ্ছে এবং কি লাভ হবে? তিনি কোনো কর্মসূচি বাদ দিয়ে শুধু জরুরি সংবাদ সম্মেলনই করে যাচ্ছেন।’
ওই নেতা জানান, ‘বিএনপির বেশীভাগ নেতারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন না। এমনকি স্থায়ী কমিটির ৪ জন্য সদস্য ব্যতিত অন্যরা নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন না’।