অবশেষে ঐক্যফ্রন্টের নতুন কর্মসূচী ঘোষনা

kamal নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেদিন কর্মসূচিও ঘোষণা করবে তারা।

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন আজ তার মতিঝিলের চেম্বারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীসহ সব বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করবেন এবং সেদিনই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, গতকাল ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে যে প্রহসনমূলক নাটক মঞ্চস্থ হলো, তা সমগ্র দেশবাসী দেখেছে ও হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছে।

একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কীভাবে ধ্বংস করতে হয়েছে, তা এদেশের মানুষসহ সমগ্র বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাদের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি আরও বলেন, এই কথিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারকে বিজয়ী দেখালেও প্রকারান্তরে হেরেছে বাংলাদেশ ও তার ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্যদিয়ে কবর রচিত হয়েছে আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে অপর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, শপথ নেবেন না বিএনপির জয়ী প্রার্থীরা।

‘আমরা তো একাদশ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। নতুন নির্বাচনের দাবি করেছি। ফলে সংসদে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

‘নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করেছে সরকার। তাই আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি।

আবার নির্বাচন করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কখনো এভাবে নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন হয়নি।’

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে বিএনপিকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন।

অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কাল (রোববার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আগে থেকেই এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই আসন ধরে ধরে ভৌতিক মামলা হয়েছে। সেই মামলা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই মামলায় বিরোধী দলকে আটকানোর জন্য গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে।

সারা দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে। এর মাধ্যমে গোটা দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। এমন নির্বাচন অতীতে আর কখনো হয়নি এ দেশে।

এমনকি সারা দেশে টার্গেট করে এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জাল ভোট দিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। এর সাথে র‍্যাব পুলিশ সহায়তা করেছে।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সংসদে যাওয়া কিংবা শপথ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।’

একই কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবিতে আমরা মাঠে নামবো। এই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের এই শপথ নেওয়ার কোনও কারণ নেই।–বিডি২৪লাইভ